কোনো পেশায় সাফল্য এমনি এমনি ধরা দেয় না। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর
জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করে যেতে হয়। তবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও
পরিকল্পনা ছাড়া বেশি দূর যাওয়াটা কঠিন। সাফল্য অর্জনের জন্য অনুসরণ করতে
পারেন এমন ১০টি পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো:
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অগ্রসর হন: নিজেকে আজীবন ছাত্র ভাবতে হবে। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা থেকে যা কিছু শিখবেন, তার সবই কোনো না কোনোভাবে আপনার সাফল্যের নেপথ্যে রসদ জোগাবে। অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি অন্যদের কাছে আপনাকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাই নিজের পেশা জীবনকে মনে করতে হবে ধারাবাহিক অভিজ্ঞতার সমষ্টি।
অপছন্দের চাকরি করবেন না: পড়াশোনা শেষ করেই অনেকে যেনতেন একটা চাকরিতে ঢুকে পড়েন। ‘পছন্দের চাকরিটা পরেও খুঁজতে পারব, আপাতত একটা কিছু শুরু করি’ এমন ভাবনার ফলে সাময়িক কিছু রোজগার হলেও পরে অনেক মাশুল গুনতে হয়। কারণ, যে কাজের প্রতি আপনার আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে, সেই পেশায় আপনি সর্বোচ্চ সাফল্য আশা করতে পারেন না। আর কেবল টাকা আয়ের জন্য কাজ করে, এমন কর্মীরা সৃষ্টিশীল কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই সাময়িক প্রয়োজনে হলেও অপছন্দের চাকরিতে না যাওয়াই ভালো।
দ্রুত নিজেকে প্রমাণ করুন: কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর যত দ্রুত নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবেন, আপনার সার্বিক পেশাজীবন তত গতিময় ও সমৃদ্ধ হবে। ধীরে-সুস্থে এগোনো যাবে, এমন ভাবলে ভুল করবেন। বরং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের গুরুত্ব শিগগির তুলে ধরুন। এতে আপনার বেতনের অঙ্ক ও পদমর্যাদার উন্নতি হবে এবং আরও বড় পরিসরের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হবে। তাই আর দেরি নয়, এখনই শুরু করে দিন।
ঝুঁকি নিয়ে কাজ করুন: ঝুঁকি নেওয়াটা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ না-ও হতে পারে। অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গতকাল যা করেছি, আজ ও আগামীকাল যদি সেই একই কাজ করে যেতে থাকি, আমরা এগোতে পারব না। ঝুঁকি নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন, যেখানে সাফল্য ও ব্যর্থতা-দুটোই থাকতে পারে। উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুঁকিই হতে পারে আপনার বড় সাফল্যের সিঁড়ি।
মানুষের সান্নিধ্যে আরও বেশি সময়: ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকেন যতক্ষণ, তার চেয়ে বেশি সময় কাটান অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা ও আলাপচারিতায়। সবকিছু অনলাইনে হয় না। স্মার্টফোন ও ট্যাবের মতো যন্ত্রগুলো আপনাকে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে ঠিকই, কিন্তু মুখোমুখি আলোচনার সময়-সুযোগ কেড়ে নেয়। মনে রাখতে হবে, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে খুঁজছে, প্রযুক্তিকে নয়। এ যুগে প্রযুক্তিতে দক্ষ লোকজনের চেয়ে মুখোমুখি যোগাযোগে দক্ষ মানুষের চাহিদা মোটেও কম নয়।
নিজের কাজের মূল্যায়ন করুন: চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে ভেবে দেখবে, আপনার কাছ থেকে কী কী পাওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসানির্ভর। আপনি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সার্বিক আয় কতটা বাড়াতে পারবেন এবং ব্যয় কতটা কমাতে পারবেন-সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করা হবে। কাজেই নিজেই নিজেকে সেভাবে যাচাই করে দেখুন, আসলেই আপনি পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য কি না।
আগামীর প্রয়োজনে আত্মত্যাগ: ভবিষ্যতে নিজেকে ভালো অবস্থানে দেখতে চাইলে আপনাকে এখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কাজটা পছন্দের হলে তাতে বেশি সময় দিতে ক্ষতি কী। পেশা জীবনের শুরুতে যত পরিশ্রম করবেন, পরবর্তী জীবনে তার সুফল তত বেশি পাবেন। আর তখন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর পর ধন্যবাদটা আপনি নিজেকেই দিতে পারবেন, অন্য কাউকে নয়।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করুন: নিজের যাবতীয় অর্জন ও অভিজ্ঞতার তথ্য এক জায়গায় রাখতে হবে। নিজের পূর্ণ নামের শেষে ডট কম যুক্ত করে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এতে করে আপনি নিজের কাজকর্ম সম্পর্কে খুব সহজে অন্যদের জানাতে পারবেন। এভাবে নতুন নতুন কাজ ও উদ্যোগের সুযোগ অবারিত হয়। নিজের অর্জন ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়েবসাইটটি হালনাগাদ করতে হবে। ফেসবুক, লিংকডইনসহ সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমগুলোতেও নিজের প্রোফাইল হালনাগাদ রাখা উচিত।
বেশি বেশি ঘুরে বেড়ান: অন্যদের সংস্কৃতি, ভাষা ও কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে হলে বেশি বেশি ঘোরার বিকল্প নেই। এখন আমরা একটি বৈশ্বিক বাজারব্যবস্থার মধ্যে কাজ করি। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সেরা কর্মীটিকে খুঁজে বের করে নিয়োগ দিতে চায়। সে যোগ্য হলে অঞ্চল নির্বিশেষে মূল্যায়ন পাবে। যত বেশি ভ্রমণ করবেন, বিশ্ব সম্পর্কে তত বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতার অধিকারী হবেন। একাধিক বিদেশি ভাষা জানলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আপনার চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
সঠিক নেতা বাছাই করুন: পেশা জীবনে একজন যোগ্য ও দক্ষ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির অধীনে কাজ করা ভালো। সঠিক ব্যক্তিটিকে বাছাই করুন, যিনি আপনাকে সমর্থন, উৎসাহ ও সময় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁকে অবশ্যই আপনার পেশাসংশ্লিষ্ট হতে হবে। আপনি তাঁর অবস্থানে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখবেন এবং তাঁর পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা আপনার কাজে লাগবে। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনাগুলো তাঁর সঙ্গে বিনিময় করতে হবে। তবে সব ক্ষেত্রে যে আপনাদের মতের মিল হবে, তা নয়।
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অগ্রসর হন: নিজেকে আজীবন ছাত্র ভাবতে হবে। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা থেকে যা কিছু শিখবেন, তার সবই কোনো না কোনোভাবে আপনার সাফল্যের নেপথ্যে রসদ জোগাবে। অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি অন্যদের কাছে আপনাকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাই নিজের পেশা জীবনকে মনে করতে হবে ধারাবাহিক অভিজ্ঞতার সমষ্টি।
অপছন্দের চাকরি করবেন না: পড়াশোনা শেষ করেই অনেকে যেনতেন একটা চাকরিতে ঢুকে পড়েন। ‘পছন্দের চাকরিটা পরেও খুঁজতে পারব, আপাতত একটা কিছু শুরু করি’ এমন ভাবনার ফলে সাময়িক কিছু রোজগার হলেও পরে অনেক মাশুল গুনতে হয়। কারণ, যে কাজের প্রতি আপনার আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে, সেই পেশায় আপনি সর্বোচ্চ সাফল্য আশা করতে পারেন না। আর কেবল টাকা আয়ের জন্য কাজ করে, এমন কর্মীরা সৃষ্টিশীল কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই সাময়িক প্রয়োজনে হলেও অপছন্দের চাকরিতে না যাওয়াই ভালো।
দ্রুত নিজেকে প্রমাণ করুন: কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর যত দ্রুত নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবেন, আপনার সার্বিক পেশাজীবন তত গতিময় ও সমৃদ্ধ হবে। ধীরে-সুস্থে এগোনো যাবে, এমন ভাবলে ভুল করবেন। বরং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের গুরুত্ব শিগগির তুলে ধরুন। এতে আপনার বেতনের অঙ্ক ও পদমর্যাদার উন্নতি হবে এবং আরও বড় পরিসরের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হবে। তাই আর দেরি নয়, এখনই শুরু করে দিন।
ঝুঁকি নিয়ে কাজ করুন: ঝুঁকি নেওয়াটা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ না-ও হতে পারে। অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গতকাল যা করেছি, আজ ও আগামীকাল যদি সেই একই কাজ করে যেতে থাকি, আমরা এগোতে পারব না। ঝুঁকি নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন, যেখানে সাফল্য ও ব্যর্থতা-দুটোই থাকতে পারে। উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুঁকিই হতে পারে আপনার বড় সাফল্যের সিঁড়ি।
মানুষের সান্নিধ্যে আরও বেশি সময়: ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকেন যতক্ষণ, তার চেয়ে বেশি সময় কাটান অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা ও আলাপচারিতায়। সবকিছু অনলাইনে হয় না। স্মার্টফোন ও ট্যাবের মতো যন্ত্রগুলো আপনাকে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে ঠিকই, কিন্তু মুখোমুখি আলোচনার সময়-সুযোগ কেড়ে নেয়। মনে রাখতে হবে, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে খুঁজছে, প্রযুক্তিকে নয়। এ যুগে প্রযুক্তিতে দক্ষ লোকজনের চেয়ে মুখোমুখি যোগাযোগে দক্ষ মানুষের চাহিদা মোটেও কম নয়।
নিজের কাজের মূল্যায়ন করুন: চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে ভেবে দেখবে, আপনার কাছ থেকে কী কী পাওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসানির্ভর। আপনি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সার্বিক আয় কতটা বাড়াতে পারবেন এবং ব্যয় কতটা কমাতে পারবেন-সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করা হবে। কাজেই নিজেই নিজেকে সেভাবে যাচাই করে দেখুন, আসলেই আপনি পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য কি না।
আগামীর প্রয়োজনে আত্মত্যাগ: ভবিষ্যতে নিজেকে ভালো অবস্থানে দেখতে চাইলে আপনাকে এখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কাজটা পছন্দের হলে তাতে বেশি সময় দিতে ক্ষতি কী। পেশা জীবনের শুরুতে যত পরিশ্রম করবেন, পরবর্তী জীবনে তার সুফল তত বেশি পাবেন। আর তখন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর পর ধন্যবাদটা আপনি নিজেকেই দিতে পারবেন, অন্য কাউকে নয়।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করুন: নিজের যাবতীয় অর্জন ও অভিজ্ঞতার তথ্য এক জায়গায় রাখতে হবে। নিজের পূর্ণ নামের শেষে ডট কম যুক্ত করে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এতে করে আপনি নিজের কাজকর্ম সম্পর্কে খুব সহজে অন্যদের জানাতে পারবেন। এভাবে নতুন নতুন কাজ ও উদ্যোগের সুযোগ অবারিত হয়। নিজের অর্জন ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়েবসাইটটি হালনাগাদ করতে হবে। ফেসবুক, লিংকডইনসহ সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমগুলোতেও নিজের প্রোফাইল হালনাগাদ রাখা উচিত।
বেশি বেশি ঘুরে বেড়ান: অন্যদের সংস্কৃতি, ভাষা ও কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে হলে বেশি বেশি ঘোরার বিকল্প নেই। এখন আমরা একটি বৈশ্বিক বাজারব্যবস্থার মধ্যে কাজ করি। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সেরা কর্মীটিকে খুঁজে বের করে নিয়োগ দিতে চায়। সে যোগ্য হলে অঞ্চল নির্বিশেষে মূল্যায়ন পাবে। যত বেশি ভ্রমণ করবেন, বিশ্ব সম্পর্কে তত বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতার অধিকারী হবেন। একাধিক বিদেশি ভাষা জানলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আপনার চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
সঠিক নেতা বাছাই করুন: পেশা জীবনে একজন যোগ্য ও দক্ষ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির অধীনে কাজ করা ভালো। সঠিক ব্যক্তিটিকে বাছাই করুন, যিনি আপনাকে সমর্থন, উৎসাহ ও সময় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁকে অবশ্যই আপনার পেশাসংশ্লিষ্ট হতে হবে। আপনি তাঁর অবস্থানে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখবেন এবং তাঁর পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা আপনার কাজে লাগবে। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনাগুলো তাঁর সঙ্গে বিনিময় করতে হবে। তবে সব ক্ষেত্রে যে আপনাদের মতের মিল হবে, তা নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন